Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কক্সবাজার সদর উপজেলার অর্ন্তগত পোকখালী ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড বিতরণ
বিস্তারিত

কক্সবাজার সদর উপজেলার অর্ন্তগত পোকখালী ইউনিয়নে আগামী (২৭/০১/২০১৮) তারিখ থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু-----।
-------------------------------------------------------------
আগামী ২৭ জানুয়ারী (২০১৮ সাল) থেকে কক্সবাজার সদরের ১০ ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। প্রথমে ইসলামপুরে কার্ড দেয়া হবে। নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইসলামপুরের কার্ড বিতরণ চলবে ৩ দিন।

৮ মার্চ ইউনিয়ন পর্যায়ের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসুচি শেষ হবে। টানা ৩ মাসেরও বেশী সময়ের এই কর্মসূচি সফল করতে নির্বাচন অফিস ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নসমূহের স্মার্ট কার্ড জেলা নির্বাচন অফিসে পৌঁছেছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা সিবিএনকে তথ্য নিশ্চিত করেন। ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারীর আগে যাদের জন্ম অথবা ২০১৬ সালের আগে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তারাই মূলতঃ ‘স্মার্ট কার্ড’-এর আওতায় পড়েছে। সে হিসেবে ১০ ইউনিয়নে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪১ ভোটার স্মার্ট কার্ড পাওয়ার উপযুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত নির্ধারিত কেন্দ্রে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী যারা কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেনা, পরবর্তীতে তারা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড নিতে পারবে। তবে, সেজন্য ভোগান্তিতেও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নির্বাচন অফিসের শিডিউল নিম্নে তুলে ধরা হলো:

পোকখালী ইউপি
২৭ জানুয়ারী ১নং এযার্ড পম্চিম ইছাখালী, পূর্ব ইছাখালী ও ২ নং ওয়ার্ড পূর্ব পোকখালী।
২৮ জানুয়ারী ৩নং এযার্ড মধ্যম পোকখালী ও ৬ নং ওয়ার্ড উত্তর নাইক্যংদিয়া।
২৯ জানুয়ারী ৪নং এযার্ড পম্চিম পোকখালী ও ৫ নং ওয়ার্ড নাইক্যংদিয়া।
৩০ জানুয়ারী ৭নং এযার্ড উত্তর গোমাতলী, ৮নং ওযার্ড পম্চিম গোমতলী ও ৯ নং ওয়ার্ড পূর্ব গোমাতলী।
সম্ভাব্য বিতরণকেন্দ্র: ইউনিয়ন পরিষদ

 

প্রথম দিন (৩ জানুয়ারী) ইসলামপুর দিয়েই ইউনিয়ন পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজাম্মেল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা।

১ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজার পৌরসভায় ‘স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র’ তথা ‘স্মার্ট কার্ড’ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। পৌর এলাকায় শেষ হবে ২৯ ডিসেম্বর। বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাদ পড়াদের স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে ৩০ জানুয়ারী।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৭ সালে হালনাগাদ বাদে সদরের , পোকখালীতে ১৩১৩০,  গত জানুয়ারীতে ‘রিভাইসিং অথরিটি’র মাধ্যমে নিবন্ধিত ভোটাররাও স্মার্ট কার্ডের অন্তর্ভুক্ত।

সুত্র জানায়, স্মার্টকার্ড নেওয়ার সময় নাগরিকদের পুরনো কার্ড জমা দেওয়ার পাশাপাশি ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি দিতে হবে। এক্ষেত্রে কারও কার্ড হারিয়ে গেলে প্রথমে পুরনো কার্ডটি তুলে তা জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড নিতে হবে। স্মার্টকার্ড নেওয়ার সময় ভোটারদের নতুন করে কোনও ছবি তুলতে হবে না বা কোনও তথ্য দিতে হবে না। নির্বাচন কমিশনে প্রত্যেক ভোটারের যে ছবি ও অন্যান্য তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে, তারই ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে স্মার্ট কার্ড। অর্থাৎ ভোটারদের হাতে বর্তমানে যে লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তার ছবি ও অন্যান্য তথ্যযুক্ত থাকবে নতুন স্মার্ট কার্ডে। তবে, কোনও ভোটার স্মার্ট কার্ড তৈরি হওয়ার আগে ছবি পরিবর্তন বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন করে থাকলে স্মার্ট কার্ডে নতুন ছবি পাবেন।

স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরও ভোটারদের ছবি বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন/হালনাগাদের সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিয়ে তাদের নিজ নিজ নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। সংশোধিত নতুন স্মার্টকার্ড তৈরি হলে ভোটারের মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। পরে তারা উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে তা সংগ্রহ করবেন। প্রত্যেক ভোটারকে স্মার্ট কার্ড নেওয়ার সময় তাদের কাছে থাকা কার্ডটি জমা দিতে হবে। পুরনো কার্ড না দিয়ে নতুন কার্ড পাওয়া যাবে না।

স্মার্টকার্ড এর বিস্তারিত:
জালিয়াতি রোধে জাতীয় পরিচয়পত্রকে আধুনিকভাবে তৈরি, যন্ত্রে পাঠযোগ্য জাতীয় পরিচয়পত্রকেই ‘স্মার্ট কার্ড’ বলে। একে ভোটার আইডি বলেও অভিহিত করা হয়। বর্তমানে যে পরিচয়পত্র বা কার্ড চালু রয়েছে তা সাধারণ পাতলা কাগজে প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করা। যার প্রথম পৃষ্ঠায় নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ ও আইডি নম্বর এবং অপর পৃষ্ঠায় ঠিকানা দেওয়া। ফলে এই কার্ডটি সহজেই নকল করা সম্ভব। অসাধু ব্যক্তিরা এটি সহজেই নকল করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে।

নাগরিক ভোগান্তি ও হয়রানি রোধ করতেই স্মার্ট কার্ড তৈরির প্রকল্প হাতে নেয় ইসি। এটি যন্ত্রে পাঠযোগ্য। অসাধু ব্যক্তিরা সহজেই নকল করতে পারবে না। ভোটারের বা পরিচয়পত্রধারীর আইডি নম্বর ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য এই আইডিতে সংরক্ষিত থাকবে। শুধুমাত্র যন্ত্রের সাহায্যে এসব তথ্য পাঠ করা যাবে। টেকসই ও সুন্দর অবয়বে এ কার্ড বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় তা সাধারণভাবে স্মার্টকার্ড হিসেবেই বিবেচিত হবে। স্মার্টকার্ডে প্রায় ২৫ ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ই-পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন সেবাসহ বহুবিধ কাজে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।

স্মার্টকার্ড হবে মেশিন রিডেবল, যা কার্ড জালিয়াতির হাত থেকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদান করবে। পরপর দুবার হারালেই কার্ড সংগ্রহে ভোটারকে জরিমানা দিতে হবে দুই থেকে চার হাজার টাকা।

প্রচারে
রফিক আহদ
চেয়ারম্যান
২নং পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ
পক্ষে-
শাহাব উদ্দিন
(উদ্যোক্তা)
পোকখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
০১৮৭৫-৫২৭৫৫১

ছবি
প্রকাশের তারিখ
01/01/2018
আর্কাইভ তারিখ
27/01/2018